ঘুম থেকে উঠে মনে হল আজ বেশ ফ্রেশ লাগছে। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ক্যামেরায় খ্যাচাত্। অফিসে ঢুকেই মনে হল টুক করে একটু দেখে নিই কেমন লাগছে নিজেকে দেখতে। মোবাইল ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করে দেখতে গিয়ে আবার ক্লিক। এ বার সঙ্গে পাউট। অফিস শেষে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ইভনিং আউট। ওয়াশরুমে গিয়ে ঝটপট তৈরি হয়েই আবার সেলফির ক্লিক। হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠিয়ে দিলেন অপেক্ষায় থাকা প্রেমিককে। যাওয়ার পথে রাস্তায় হঠাত্ দেখা ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে। টুক করে তুলে ফেললেন একটা সেলফি। দু’জনের হাতেই পিস সাইন। তারপর রোম্যান্টিক ডিনার। যুগলে সেলফি। বুকের কাছে দু’জনের হাতের মিলনে ফুটে উঠেছে লভ সাইন।

এই অভ্যাস কি আপনার রয়েছে? তাহলে কিন্তু সাবধান। ডারমাটোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, সেলফি অ্যাডিকশন হতে পারে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বার বার সেলফি তোলার ফলে স্মার্টফোনের আলো ও রেডিয়েশন সরাসরি পড়ছে মুখের উপর। ফলে দেখা দিচ্ছে বলিরেখা, দেখাচ্ছে বয়স্ক। ভাবুন তো যে মুখের ছবি রাতদিন তুলে ইনস্টাগ্রাম পেজ ভরিয়ে দিচ্ছেন, সেই চাঁদমুখই যদি ধীরে ধীরে ভরে ওঠে বলিরেখায়, ছাপ পড়ে যায় বয়সের তাহলে কী কেলেঙ্কারিটাই না হবে!

ব্রিটেনের লিনিয়া স্কিন ক্লিনিকের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সিমন জোয়াকি বলেন, ‘‘মুখের কোন দিক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখেই চিকিত্সকরা বলে দিতে পারেন আপনি কোন হাতে ফোন ধরে সেলফি তোলেন। যাঁরা খুব বেশি সেলফি তোলেন তাঁরা সাবধান থাকুন। কারণ স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলোও আমাদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।’’

অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবাগি স্কিন হেলথ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা জেন ওবাগি বলেন, ‘‘মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ত্বকের ডিএনএ-র গঠন নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। মুখের এক পাশ দেখতে নির্জীব লাগে। আলোর ম্যাগনেটিক ফিল্ড ত্বকের মিনারেল শুষে নেয়।’’