প্রত্যেক ছবিতেই কিছু না কিছু ভুলভ্রান্তি থাকে। কিছু চোখে ধরা পড়ে। কিছু পড়ে না। কিন্তু কেউ যদি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়? তখন মনে হয়, ইশ! এটা কী করে মিস করে গেলাম! পরে সেগুলিকেই মনে হয় হাস্যকর, অযৌক্তিক! এখানে রইল সে রকমই ভারতীয় কিছু সুপারহিট সিনেমায় দেখানো ভুলভ্রান্তি।
‘কৃশ’ সিনেমায় দেখানো হয়েছিল রোহিত দু’বছরের জন্য বিদেশে। একবারও আসেননি দেশে। অথচ তাঁর স্ত্রী দেশের মাটিতে গর্ভবতী হয়ে পড়লেন! পরিচালকদের একবারও মনে হল না, কী করে সম্ভব!
‘থ্রি ইডিয়টস’-এর গল্পের পটভূমি ১৯৯৯ সাল। ভারতে ইউটিউব তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। অথচ রাঞ্চোরদাসরূপী আমির খান ইউটিউবে দেখে দেখে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে মোনার সন্তান ভূমিষ্ঠ করিয়ে ফেলল!
‘ভাগ মিলখা ভাগ’ গল্প শুরু হয়েছে স্বাধীনতার আগে। অথচ সেখানে সোনম কপূরের নাচের পিছনে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মোবাইলের টাওয়ার।
একটা গোঁফ না থাকলেই নাকি চেহারা আমূল পাল্টে যায়! বলছে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ ছবির গল্প। গোঁফের থাকা, না থাকা নাকি হার মানায় প্লাস্টিক সার্জারিকেও। স্ত্রী চিনতে পারেন না স্বামীকেও!
‘শোলে’ ছবিতে গব্বর সিংহের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় মাঝে মাঝেই ঠাকুর-এর হাত বেরিয়ে পড়েছে পঞ্জাবির আড়াল থেকে!
একটা ট্রেন নেদারল্যান্ডস-এর সীমানা পার হতেই পারে না। অথচ ‘কুইন’ ছবিতে সেই ট্রেনে করে দিব্যি প্যারিস চলে গেলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
‘দিলওয়াল দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির সেই অমোঘ ট্রেনের দৃশ্য। ছবির শেষে কাজল ছুটছেন। চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শাহরুখ খান। দৌড়ে লম্বা দূরত্ব পেরিয়ে শাহরুখের হাত ধরে কামরায় উঠলেন কাজল। অথচ ফিরেও দেখলেন না তার বাঁ দিকেই ছিল কামরার দ্বিতীয় দরজা!
‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে ১৯৯১ সালের পটভূমিতে কাজল গাইছেন ‘আতি ক্যায়া খান্ডালা’। অথচ আমির খানের ‘গুলাম’ মুক্তি পেয়েছে ১৯৯৮ সালে।