থ্রি ইডিয়টস সিনেমার সেই অধ্যক্ষ ভাইরাস যিনি কিনা সময় বাঁচাতে অনেক কিছু করতেন। যার মধ্যে অন্যতম এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই হাতে সমানভাবে লেখার ক্ষমতা। শুধু সিনেমাতেই নয় বাস্তবের মাটিতেও রয়েছে এমন গুণের অনেক মানুষ। তবে সমগ্র বিশ্বে তাদের সংখ্যাটা হাতে গোনা। কিন্তু ভারতের মাটিতেই এমন স্কুল রয়েছে যেখানে তৈরি হয় শয়ে শয়ে ‘ভাইরাস’। মানে ভাইরাসের সেই বিশেষ সব্যসাচী গুণের অধিকারী করে তোলা হয় পড়ুয়াদের।
পরিসংখ্যান অনুসারে সমগ্র বিশ্বের প্রায় দশ শতাংশ মানুষ বাঁ হাতে লেখেন। বাকিরা ডান হাতে। এসবের বাইরেও এমন কিছু সংখ্যক মানুষ আছেন যারা দুই হাতে সমানভাবে লিখতে পারেন একই সময়ে। কিন্তু সেই তালিকায় কিছুটা নয়, অনেকটা ব্যতিক্রম হচ্ছে ভারতের বিনা বাদিনী পাবলিক স্কুল বুধেলা। যেখানে সকল পড়ুয়ারা দুই হাতে সমানভাবে লিখতে সক্ষম।
মধ্যপ্রদেশের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত সিঙ্গারৌলি জেলা। ওই জেলার বিদিশার ছোটা হাভেলি এলাকায় অবস্থিত বিনা বাদিনী পাবলিক স্কুল বুধেলা। যেখানের প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া সকলেই দুই হাতে একইসঙ্গে সমানভাবে লিখতে পারে। ঠিক থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ভাইরাসের মতো।
স্কুলে ভরতি হওয়ার প্রথম দিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এই দুই হাতে লেখার বিষয়টিতে। ৪৫ মিনিটের ক্লাসের মধ্যে ১৫ মিনিট ব্যয় করা হয় হাতের লেখা শেখাতে। ছাত্রছাত্রীদের আরও ভালো করে বিষয়টি রপ্ত করতে নিয়মিত যোগা ক্লাস করানো হয়। যার ফলে খুব সহজেই দুই হাতে একইসঙ্গে লিখতে অভ্যস্ত হতে পারে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই স্কুলের পড়ুয়ারা কেবলমাত্র হিন্দি বা ইংরেজি ভাষাতেই লিখতে পারে এমন নয়। উক্ত দুই ভাষা সহ উর্দু, আরবি, রোমান এবং সংস্কৃত ভাষাতেও দক্ষ। এই ছয়টি ভাষাতেই তারা দুই হাতে একইসঙ্গে লিখতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে এই ধরণের মানুষেরা যারা দুই হাতেই একসঙ্গে লিখতে পারে তাদের মস্তিষ্ক বিশেষভাবে বিকশিত হয়। অন্যদের তুলনায় তাদের আইকিউ লেভেল অনেক বেশি থাকে। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিও খুব সক্রিয় হয়। যদিও পড়ুয়াদের মতে দুই হাতে একসঙ্গে লিখতে সক্ষম হওয়ায় তাদের সুবিধা হয় পরীক্ষার সময়ে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় শেষ করে ফেলা যায়। কলকাতা২৪।