ভারতের টেক্সটাইল মেলার মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে জানিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন , ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর স্টেকহোল্ডারগণ যেমন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বিজিএএমপিআইএ-কে নিবিড়ভাবে একসাথে কাজ করতে হবে।
ভারত সরকার কর্তৃক আয়োজিত গত ৩০ জুন হতে ০২ জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত গুজরাটের গান্ধিনগরে অনুষ্ঠিত মেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারর্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশেন (বিজিএমইএ) বাংলাদেশ নীটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারারর্স এসোসিয়েশেন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর সদস্যগণ অংশ গ্রহণ করেন।
সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্টেক হোল্ডারগণের মধ্যে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্তি সচিব কৃষ্ণ ভট্টার্চায্যসহ বিজিএমইএ’র, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বিজিএএমপিআইএ এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় বস্ত্রখাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেসকল কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা আবশ্যক তার সুপারিশমালা বস্ত্রখাতের বেসরকারি খাত হতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পরামর্শ প্রদান করেন।
সভায় স্টেকহোল্ডারগণ উল্লেখ করেন যে, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সরকারের পক্ষ হতে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভারতের টেক্সটাইল মেলা টেক্সটাইল ইন্ডিয়া-২০১৭” এর অংশগ্রহণের অভিজ্ঞাতার আলোকে তাঁরা মত প্রকাশ করেন যে, আসন্ন শীত মৌসুমে বাংলাদেশেও টেক্সটাইল মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।