বছর পঁচিশের প্রীতিকা তামিলনাড়ু পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে ট্রেনিং শেষে সাব-ইন্সপেক্টেরের দায়িত্ব পান। ১০২৮ জন ট্রেনির মধ্যে তিনিই একমাত্র ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী ছিলেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্বভাতই খুব খুশি, জানালেন প্রীতিকা।

 

কী ভাবে পেলেন এই চাকরি?

প্রীতিকা জানান, এই চাকরি পেতে তাঁকে দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়তে হয়েছে। ১০৮৭টি সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য তামিলনাড়ু ইউনিফর্মড সার্ভিসেস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড-এ আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী হওয়ার কারণে তাঁর আবেদনপত্র বাতিল করে দেয় বোর্ড।

অবশেষে বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রীতিকা। আদালত বোর্ডকে প্রীতিকার পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেয়। লেখা পরীক্ষায় পাশ করার পর ফিজিক্যাল ফিটনেসের পরীক্ষাতেও সফল ভাবে উতরে যান তিনি। প্রীতিকা জানান, তাঁর সঙ্গে অন্য প্রার্থী যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেকেই তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামীর হাত থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার পর প্রীতিকা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফসল পেয়ে খুব খুশি। তাঁকে দেখে ট্রান্সজেন্ডার সমাজ থেকে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে আশা করেন তিনি।