ভারতে মদ খেয়ে মৃত্যুর খবর নতুন কিছু নয়। তারপরেও সংগ্রামপুর, ময়না, গলসির পরে এ তালিকায় এবার যোগ হলো শান্তিপুর।
শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ায় মঙ্গলবার চোলাই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। বুধবার রাত পর্যন্ত ১০ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত চন্দন ওরফে গুলবার মাহাতোও। এ ছাড়া, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ২০ জন ভর্তি আছেন।
যদিও এই মৃত্যু ও অসুস্থতার পিছনে বিষমদ রয়েছে কি না, তা এ দিন স্পষ্ট করে বলেনি দেশটির রাজ্য প্রশাসন। অর্থ তথা আবগারিমন্ত্রী অমিত মিত্র বিধানসভায় বলেন, ‘‘বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃত্যু হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রিপোর্ট আছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে ভ্যানে কিছু মাল ঢুকেছে, উপরে অন্য কিছু চাপা দিয়ে। কারা এ সব এনেছে, কোথা থেকে এনেছে, সিআইডি তদন্ত করবে।’’ অমিতবাবুর মতে, কী খেয়ে মৃত্যু হয়েছে জানা গেলে, কোথা থেকে ওই বিষাক্ত জিনিস এল, তা-ও জানা যাবে।
রাজ্য প্রশাসন সরাসরি বিষমদের কথা না বললেও আবগারি দফতরের ডেপুটি কালেক্টর (রানাঘাট), এক বর্তমান ও এক প্রাক্তন ইনস্পেক্টর এবং আট কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগের বিষমদ কাণ্ডের মতো এ ক্ষেত্রেও পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বুধবার রাত পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বেশ কিছু মহিলা-পুরুষ চৌধুরীপাড়ায় চন্দনের বাড়িতে চোলাই মদ খেয়েছিলেন। রাত থেকেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। পেটে জ্বালা, সঙ্গে বমি। অসুস্থ ছ’জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান কয়েকজন।