বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। আইনটি কোনোভাবেই কার্যকর হতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ৬ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চলমান এ বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে নিজেদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এদিকে, নতুন নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই দেশের আইনে পরিণত হয়েছে এই বিল। যার প্রেক্ষিতে আসাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আসামের গুয়াহাটিতে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়। স্থগিত রাখা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে এসব রাজ্য ভ্রমণের সময় গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। আর তাই এসব রাজ্যে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। এই বিলে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি ভোট। যার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিতর্কিত এই বিলটিতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত করা হয়।