স্কুলের নাম যত ভারি, তার স্কুল ব্যাগের ওজন তত বেশি৷ বেসরকারি স্কুল গুলোতে ব্যাগের ওজন দেখে আতঙ্কিত শিশু বিশেষজ্ঞরা৷ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাগের ভারে নুইয়ে পড়া চেহারাগুলো দেখেও টনক নড়ে না অভিভাবকদের৷ সন্তানকে ইঁদুর দৌড়ে ঢুকিয়ে দিয়েই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা৷
আপনার অজান্তে আপনার ভালোবাসার মানুষটির কতবড় ক্ষতি আপনি করছেন, ভেবে দেখেছেন কি?
স্কুল ব্যাগের ওজন নিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আঁতকে উঠেছেন বিশেষজ্ঞরাও৷ একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কি কি মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে৷
১. ১০ বছরের নীচে গোটা দেশের ৫৮ শতাংশ বাচ্চা মাসল পেন বা পেশির ব্যথায় ভুগছে৷
২. ১২ বছরের নীচে গোটা দেশের ৭৫ শতাংশ বাচ্চা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পরছে, ঘনঘন জ্বর হচ্ছে৷ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে শরীর খারাপ হচ্ছে বারবার৷
৩. জ্বর সর্দিতে ভোগা বাচ্চাদের নিয়ে বারবার ডাক্তারের কাছে ছুটতে হচ্ছে অভিভাবকদের৷ যার পেছনে অন্যতম কারণ ভারী স্কুল ব্যাগ, বলেই রিপোর্টে প্রকাশ৷
৪. মাথার যন্ত্রণা ও পিঠের ব্যাথায় ভুগছে ভারী ওজনের স্কুল ব্যাগ বহনকারী প্রায় ৫০ শতাংশ বাচ্চা৷
৫. গ্রামের চেয়ে শহরের বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগের ওজন বেশি৷ তাই এই সমস্ত রোগে ভুগছে শহরের ছেলে মেয়েরাই৷
৬. বই খাতার পাশাপাশি শিশুদের ব্যাগে থাকে টিফিন বক্স, জলের বোতল, আঁকার সরঞ্জাম, পেন্সিল বক্স ইত্যাদি জিনিসপত্র৷ যা ব্যাগের ওজন আরও বাড়ায়৷ যা বিপদের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের৷
৭. রিপোর্ট বলছে, এমনকি বাচ্চার ব্যাগের ওজন বাচ্চার ওজনের ১৫ শতাংশের বেশি হলেও মাথা, ঘাড়, শিরদাঁড়া ও কোমরের ব্যাথা হতে পারে৷
৮. বাচ্চারা যারা নিজেদের ওজনের ১৫ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় বা আসে তাদের ফুসফুসের রোগ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷ কাশি ও হাঁফানি রোগে ভোগার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি৷ প্রায় ৭৫ শতাংশ বাচ্চা ফুসফুসের রোগে ভুগছে বা ভবিষ্যতে ভুগবে৷
ভবিষ্যতে এই বাচ্চারা যে শিরদাঁড়ার বিভিন্ন অসুখে ভুগবে এমন আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷
সন্তানকে সুস্থ রাখতে হলে তার স্কুল ব্যাগের ওজন কমাতেই হবে৷ না হলে ভয়ংকর দিন অপেক্ষা করে আছে আপনার সন্তানের জন্য৷ এখনই সাবধান হন৷ স্কুল ব্যাগের ওজন বাড়লেই সন্তান সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে না৷ কিন্তু, সন্তানকে সুস্থ সবল রাখতে, শিক্ষিত মানুষ করে তুলতে হলে প্রথমেই স্কুল ব্যাগের ওজন কমাতে হবে৷