রাশিয়ার প্রত্যন্ত নোভায়া যেমালয়া দ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শ্বেত ভালুকের ভয়ে এ জরুরি অবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে অসংখ্য শ্বেত ভালুক দ্বীপের মানব বসতিগুলোয় এসে হাজির হচ্ছে। এলাকাটিতে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু ভালুকগুলো আসতে শুরু করার পর সেখানে বসবাসরত মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন। খবর বিবিসির।
জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার প্রাণীগুলোর মধ্যে মধ্যে শ্বেত ভালুক অন্যতম। খাবারের খোঁজে প্রায়ই সেগুলো লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। কিন্তু দেশিটিতে এসব ভালুক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকাভুক্ত হওয়ায় শিকার করা নিষিদ্ধ।
কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ যেসব পেট্রোল বা সিগন্যাল ব্যবহার করে এসব ভালুক তাড়িয়ে থাকে, তা থেকে ভীতি কেটে গেছে এসব প্রাণীর। ফলে এগুলো সামলাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তারা বলেন, ভালুকগুলোকে তাড়ানোর অন্যসব পন্থা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সামনে একটি পদ্ধতিই খোলা থাকবে। তা হচ্ছে, এগুলোর মধ্য থেকে একটি অংশকে মেরে ফেলা।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, দ্বীপের মূল বসতি বেলুশা গুবায় ৫২টি ভালুক দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ৬-১০টি সবসময়ই সেখানে থাকছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরুর সাগরের বরফ গলে যাচ্ছে। এর ফলে মেরু অঞ্চলে থাকা শ্বেত ভালুকগুলো তাদের শিকারের অভ্যাস পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে। তারা বরফের রাজ্য থেকে বেরিয়ে ভূমিতে এসে খাবার খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে, যা মানুষের সঙ্গে তাদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
এর আগে ২০১৬ সালে শ্বেত ভালুকের কারণে পাঁচজন রাশিয়ান বিজ্ঞানী ট্রোনোয় দ্বীপের একটি প্রত্যন্ত আবহাওয়া স্টেশনে বেশ কয়েকদিন অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।