বাবুগঞ্জের রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ভাসমান পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন সেখানকার কৃষি গবেষকরা। পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষাবাদ শুরু করলে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন রহমতপুর আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রটি।
ভাসমান কৃষিবিষয়ক গবেষণা কর্মসূচির প্রধান গবেষক ড. মোঃ আলীমুর রহমান জানান, ২০১৪ সালে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করেন এখানকার বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে গবেষণা মাঠে ‘ভাসমান বেড ও মাচা’ পদ্ধতিতে চাষ লতাজাতীয় সবজি যেমন শসা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, বরবটি, করলা প্রভৃতি ফসলের আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া গেছে।
তবে ভাসমান বেডে হাইব্রিড জাতের সবজির ফলন স্থানীয় জাতের তুলনায় অনেক বেশি। রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আব্দুল ওহাব বলেন, ঘরবাড়ি, রাস্তা, কল-কারখানা নির্মাণের ফলে প্রতিবছর চাষের জমি কমে যাচ্ছে। গত তিন দশকে দেশে প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর কৃষিজমি কমে যাচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাশাপাশি শাক-সবজিকে তীব্র প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। কৃষিজমি হ্রাসের ফলে বিকল্প উপায়ে সবজি চাষে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।