বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটি’র চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং এর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে বলা হয়, এসময় তাঁরা দ্বি–পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা দু’দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সংস্কৃতি ও ব্যবসা–বাণিজ্য, জলবায়ুর পরিবর্তন, পর্যটন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
শিরীন শারমিন বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিয়েতনাম কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চী মিনের বন্ধুত্বের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।শিরীন শারমিন চৌধুরী দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে নীতি নির্ধারণী মতবিনিময় ও উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় এবং বাজার সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত ও কৌশল বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে। তিনি বলেন, দুটি দেশই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কৃষি উন্নয়নে দ্বি–পাক্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে কোয়াং বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারিগরী সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি, ঔষধ, কৃষিজাত দ্রব্যাদি ও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, ওই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে–যা মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ নাথ, এ.এম নাঈমুর রহমান ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।