রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঔষধের দোকানে কম টাকায় নকল ঔষধ কেনাবেচা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগ্রেশন পিবিআই ভেজাল ঔষধ বিক্রির দায়ে দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো মোঃ জয়নাল আবেদীন ও ফারুক মিয়া। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই চক্রে আরও সদস্য রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও নকল ওষুধের কারাখানার খোঁজে পিবিআইয়ের অভিযান চলছে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া একটি ঔষধের দোকানে শারমিন ওরফে উম্মে খাদিজা নামে একজন মহিলা গত জুন মাসে মোনাস-১০ নামে একটি ঔষধ কম পয়সায় বিক্রি করতে যায়। কিন্তু কম দামের কথা শুনে দোকানের মালিক কৌশলে ওই মহিলার নাম, মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখে। এরপর বিষয়টি নিয়ে মোনাস-১০ ওষুধ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তার খোঁজ খবর নেয়। পরে ওই মহিলার কাছ থেকে ওষুধ কিনার কথা বলে টেলিফোনে তাকে ডেকে নিয়ে নকল ঔষধসহ আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষায়িত টিম পিবিআই গত মঙ্গলবার রাতে মিরপুরের কল্যাণপুর ও খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই নকলবাজ ঔষধ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে।
পিবিআই জানায়, আটক আসামিরা সংঘবদ্ধ নকল ঔষধ প্রস্তুতকারি চক্রের সদস্য। আসামি জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ কোম্পানীতে চাকরী করার সুবাধে আসল ঔষধ বিক্রি করার পাশাপাশি নকল ঔষধ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করত। আর আসামি মোঃ ফারুক সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় চাকরী ছেড়ে এসে অধিক মুনাফা লাভের জন্য নকল ঔষধ তৈরী করছে। আসামিদের কাছ থেকে আরও নকল ঔষধ উদ্ধারসহ কারখানা চিহ্নিত, নকল ঔষধ প্রস্তুতকারি চক্রের সংঘবদ্ধ সদস্য এবং ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।