ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিকাশ ঘটলে বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে যেতে পারে। শিল্প ও সেবা খাতে আসতে পারে অভাবনীয় পরিবর্তন। দেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। তৈরি হবে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ।
ফেসবুক, গুগল ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে ক্ষুদ্র আকারে যাত্রা শুরু হয়েছিল-এখন তা বিলিয়ন ডলারের কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক তরুন জনগোষ্ঠীর উদ্ভাবনী উদ্যোগকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে অর্থায়ন করা গেলে এখানেও বড় বড় কোম্পানী তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের জনতা টাওয়ারে বেসিস কার্যালয়ে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এন্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
ভিসিপিইএবি সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পারভেজ ইকবাল,বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের সদস্য ড. জামাল উদ্দিন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার স্বপন কুমার বালা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিসিপিইএবি সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান তার বক্তব্যে বলেন,ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাংলাদেশে একেবারে নতুন ধারনা। দেশের অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে আমরা এ ধরনের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চাই।এ জন্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
শামীম আহসান বলেন,বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এখানে প্রতিবছর অসংখ্য তরুণ-তরুণী কর্মজীবনে প্রবেশ করছে।
এদের অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চায়,অনেকেরই রয়েছে সৃজনশীল আইডিয়া। কিন্তু অর্থায়ন সংকটে এসব আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে পারেন না। কোনো কোনো উদ্যোগ ভালভাবে শুরু করেও অর্থাভাবে মাঝপথে থেমে যায়। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে এমন উদ্যোগে অর্থায়ন করা গেলে বেশিরভাগ উদ্যোগ সাফল্যের আলো দেখবে।
মূল প্রবন্ধে শওকত হোসেন বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল মূলত প্রাইভেট ইক্যুইটি। বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ আইনের ভাষায় এটিকে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট নামে অভিহিত করা হয়েছে।
এ ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে, ২০১৫ সালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস, ২০১৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের ফান্ড পরিচালনার জন্যে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।