সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের ফলে দেশটির নির্বাচিত সংসদ কার্যত ভেঙে দেয়া হয়েছে। এই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল মাদুরো বিরোধীদের। রায়ে আদালত বলেছে, ‘আইনপ্রণেতারা ঘৃণ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এটা যত দিন চলতে থাকবে তত দিন সংসদের ক্ষমতা সরাসরি বিচারপতিরাই প্রয়োগ করবেন অথবা তাদের নিয়োগ করা কোনো সংস্থা এটা করবে। সংসদের হাতে এই ক্ষমতা আদৌ ফিরিয়ে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি সুপ্রিমকোর্ট।
এদিকে এ ব্যাপারে অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) প্রধান লুইস আলমাগরো এটাকে স্ব-আরোপিত অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা যেটা আশংকা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত তাই ঘটল। ’ তার সংস্থাটি এ অঞ্চলের মধ্যে কূটনৈতিক পন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে চেষ্টা করে।
ভেনিজুয়েলাও এর সদস্য। দেশটি সংস্থার গণতান্ত্রিক সনদ লংঘন করেছে বলে অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত করে দেখছে ওএএস। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মাদুরো তার ক্ষমতা আরও সংহত করেছেন। বহু রাজনীতিককে বিচার ছাড়াই বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদকে নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় নির্বাচন। মাদুরোর ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার লাগাম টানার শেষ প্রতিষ্ঠান ছিল জাতীয় সংসদ। এখন আর সেই বাধাও রইল না।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস ও এপি