ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভে গুলিতে এক নারী ও এক কিশোর নিহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবিতে ভেনেজুয়েলাজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। বুধবার বিক্ষোভকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কলম্বিয়া সীমান্তে সান ক্রিস্টোবাল এলাকায় এক নারী এবং রাজধানী কারাকাসে এক কিশোর গুলিতে নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো অভিযোগ করেছেন, বিরোধীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং দোকান লুটপাট করছে। তিনি জানান, অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার সমর্থিতরা রাজধানীতে একটি মিছিল বের করবেন।
ভেনেজুয়েলায় চলমান এ বিক্ষোভটি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। এ অবস্থায় দেশটির অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন মাদুরো। সবচেয়ে বৃহৎ তেলের মজুদ দেশটিতে থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে দেশটির মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ২০১৯ হলেও বিরোধীরা দাবি করছেন, দেশ আরও গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে। ফলে এখনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দরকার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল জানিয়েছে, চলতি বছর ভেনেজুয়েলার মূল্যস্ফীতি ৭০০ শতাংশ হতে পারে।
চলমান এ সংকটের জন্ম হয় গত মাসের সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্ধান্তে। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত সংসদের নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেওয়া উচিত। যদিও আদালত তিনদিন পরেই সিদ্ধান্ত বদল করে। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। শুরু হয় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ।
বুধবারে দুইজন নিহত হওয়ায় চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
সূত্র: বিবিসি