বুধবার বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ঘাড়ে আঘাত পেয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। এ নিয়ে এক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়াল।
বুধবার সকালে যথারীতি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছিল। বিরোধীদলের কয়েক হাজার সমর্থক শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে রাজধানী কারাকাসের প্রধান সড়ক ধরে এগিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এক পর্যায়ে মুখোশধারী তরুণদের সঙ্গে সৈন্যদের সংঘর্ষ শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এলোমেলো সংঘর্ষ চলাকালে ঘাড়ের আঘাত পেয়ে এক কিশোর নিহত হয় বলে জানিয়েছেন শহরের একটি এলাকার বিরোধীদল সমর্থিত মেয়র গেরার্দো ব্লাইদি। শহরের বিভিন্ন অংশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে দুইশরও বেশি মানুষ আহত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় আইনপরিষদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নির্বাচিত এই আইনপরিষদে বিরোধীদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু এই আইনপরিষদের বিকল্প আরেকটি ‘জনপ্রিয়’ কংগ্রেস তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো।
অবাধ নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করাই এর উদ্দেশ্য বলে মনে করছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। মাদুরোর এই ঘোষণা দেশটির সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আন্দোলনাকারীরা মিছিল নিয়ে আইনপরিষদের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলেও ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের কাঁদুনে গ্যাস, সাঁজোয়া যান ও লাঠিপেটার মুখে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বিরোধীদলীয় নেতা হেনরি ক্যাপ্রিলেস বলেছেন, “তারা এমনভাবে এগিয়ে আসছিল যেন যুদ্ধ চলছে।”
বিরোধী দলের তরুণ বিক্ষোভকারীরা গ্যাস মুখোশ পরে ও মুখে কাপড় বেঁধে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে মলোটোভ ককটেল ও গুলতি দিয়ে পাথর ছুড়ে তারা, আত্মরক্ষায় ঘরে তৈরি ঢাল ব্যবহার করে। বর্ণিল রঙয়ে সজ্জিত ঢালগুলোত ‘স্বাধীনতা’ ও ‘খুনি মাদুরো!’ শ্লোগান লেখা ছিল। অন্তত তিনজন বিরোধীদলীয় আইনসভার সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।