ডিএমপি নিউজঃ রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে ও ভীতিহীন পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এ জন্য ইতোমধ্যে আমরা সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আজ (২৯ ডিসেম্বর’১৮) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সাংবাদিকদের সাথে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম(বার), পিপিএম।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে, আমরা এই নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার এবং সশস্ত্র বাহিনী সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা থাকবে, মোবাইল পেট্রোল থাকবে, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ থাকবে এবং ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে ইলেকশন কমিশন, রিটানির্ং অফিসাররের কার্যালয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘিরে নিচ্ছিদ্র এবং সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এখন থেকে শুরু করে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী নিরাপত্তার চাদরে আবৃত থাকবে। প্রস্তুত থাকবে আমাদের বোম ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট ও কে-৯ ইউনিট।
কমিশনার আরো বলেন- আজকে সকাল থেকেই আমাদের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় মোবাইল পেট্রোল কাজ শুরু করেছে। এলাকার মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে ও ভীতিহীন পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তার জন্য ইতোমধ্যে আমরা সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভোট চলাকালে কোন ধরণের গোলযোগ যাতে না হয়, কেউ যেন পেশিশক্তি ব্যবহার করতে না পারে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভোটারদের প্রতি কোন মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কন্ট্রোলরুমে আমরা সার্বক্ষনিক ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে এ কার্যক্রমকে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে আমরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবো।
সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর নিরাপদে অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরাসহ যারা পর্যবেক্ষক রয়েছেন সকলেই আমাদেরকে এ কাজে সহযোগিতা করবেন। আমরা প্রত্যেক প্রার্থীর ও তাদের এজেন্টদের বিনীত অনুরোধ করব, আমরা সকলেই নির্বাচনের কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলব এবং প্রত্যেকের নিরাপত্তাজনিত কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত ভোটারদেরকে, প্রার্থীদেরকে, প্রার্থীর এজেন্টদেরকে ও সংশ্লিষ্ট অন্যানদেরকে সু-স্পষ্টভাবে বলতে চাই কেউ যদি কোন নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে, ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করে, ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে অথবা ভোটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নের সামান্যতম অপচেষ্টা করে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
কমিশনার বলেন- এই নির্বাচন শুধু সরকার বদলের নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা শুধু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি নই, আমরা এ দেশের একজন গর্বিত নাগরিক। সুতরাং আমাদের এই সমৃদ্ধ বাংলাদেশে অর্জনের জন্য একটি অবাধ, স্বচ্ছ, ভীতিহীন পরিবেশ ও উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সবশেষে পুলিশ কমিশনার সবাইকে ২০১৯ ইংরেজী নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্যের সমাপ্তি করেন।