ডিএমপি নিউজঃ প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। বদলে যাচ্ছে সমাজের পটপরিবর্তন। কিন্তু সভ্যতার এই উন্নয়নকে প্রতিহত করতে যেন কিছু একটা টেনে ধরেছে পিছন থেকে। এ যেন এক অশুভ শক্তি। সে আর কিছু নয় মরণঘাতী মাদক।
মাদক, বর্তমানে মাদক একটি বৈশ্বিক সমস্যার নাম। প্রায় প্রতিটি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকে মাদকের সম্পৃক্ততা। দিন-দিন মাদকের আগ্রাসন বেড়েই চলছে। যেমন ইয়াবা, বর্তমানে আরেকটি আতঙ্কের নাম। এ মুহূর্তে ইয়াবা নামের মাদকের আগ্রাসন যুব সমাজের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবার আলোচনায় আসা যাক মূল কথায়, প্রযুক্তির উন্নয়ন উত্তোরত্তর বেড়েই চলছে। বেড়েছে এর ব্যবহারও। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। যার ব্যবহার এতো বেশি যে আমাদের দেশে এখন প্রাথমিক শিক্ষার্থীরাও ফেসবুক ব্যবহার করছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকদের কথা না হয় নাই বললাম। কিভাবে তারা এ সুযোগ আদায় করে নিচ্ছে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মা বাবার অযত্ন ও পারিবারিক দৃঢ় বন্ধনের অভাব ও সন্তানকে সময় না দেওয়ার ফলেই হচ্ছে এসব। সন্তানটি হয়ে পড়ছে একা।
একাকী সন্তানটি কি করবে? চলুন জানা যাক এ ব্যাপারে। একাকী বা কারই ভালো লাগে। তার একাকীত্ব ঘোচাতে সে খুঁজে নেয় ফেসবুক। শুরু হয় ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি। বন্ধুত্ব হয় অনেকের সাথে। সেই তালিকায় থাকে ছেলে-মেয়ে উভয়েই। তারপর শুরু হয় কথাবার্তা। মজা পেতে থাকে সে। মোড় নিতে থাকে জীবনের। ফেসবুকে পরিচয়সূত্রে শুরু হয় বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ। এদিকে ফেসবুকে ওৎ পেতে থাকে কিছু বখাটের দল। যাদের পাল্লায় পড়ে যায় অনেকে। ঘটনা এগিয়ে যায়। সেসব বন্ধু-বান্ধবরা মিলে শুরু হয় একজোট। শুরু হয় তাদের একত্রে পথচলা। কিন্তু সেই তালিকায় মিশে থাকে একদল নিরব ঘাতক। যাদের অনেকেই মাদকাসক্ত। এ মাদকাসক্ত বন্ধুটি তাকে একটু একটু করে মাদক সেবনে উৎসাহ দিতে থাকে। তার জীবনে আসে আরেক নতুন মোড়। ধীরে ধীরে সেও হয়ে উঠে একজন মাদকসেবী। তারপর শুরু হয় এক অজানা পথ চলার। চলতে চলতে সে একসময় এমনভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে যে পরিবার তথা সমাজের কোন কিছুতেই তার মন থাকে না। সে হয়ে উঠে উন্মাদ। আর এভাবেই একজন থেকে আরেকজন করে মাদকের নীল ছোবল ধংস করে দিচ্ছে পুরো যুবসমাজকে। অতি নীরবে ছেয়ে যাচ্ছে মাদকের আগ্রাসন। ঘটনা থেকে যাচ্ছে সবার অগোচরেই।
সহপাঠী কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিলেমিশে চলাটাও দরকার। তেমনি পিতা-মাতা বা অভিভাবকেরও জানা দরকার তাদের সন্তানটি কার সাথে কোথায় যাচ্ছে। কি করছে। তার আচার আচরণে কোন বাহ্যিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিনা। যদি তার আচরণে কোন ব্যত্তয় ঘটে তাহলে লক্ষ্য রাখুন তার প্রতি। তা না হলে হয়তো এভাবেই হারিয়ে যাবে অজানায়।