পবিত্র রমজানের প্রথম দিনে পবিত্র মসজিদে নববীতে নেমেছিল মুসল্লির ঢল। হাজার হাজার মুসল্লি এদিন এই মসজিদে ইফতার করেন। তারাবির নামাজ আদায় করেন। তাদের যাতে ইফতারে ও তারাবিতে কোন অসুবিধা না হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিন বাধভাঙা ঢলের মতো অমোঘ এক আকর্ষণে দলে দলে মানুষ ছুটে যান মসজিদে নববীতে। সেখানে তারা ইবাদত বন্দেগিতে সময় কাটান। ইফতার করেন বিভিন্ন রকম খাদ্য ও কোমল পানীয় দিয়ে। এ ছাড়া ছিল খেজুর, ফলের রস, পানি, দুধ, বিভিন্ন রকম ফল, মাংস, ভাত।
অতিথিদের যাতে কোনকিছুতে ঘাটতি না হয় সে জন্য নেয়া হয় ব্যবস্থা। অন্যদিকে ইফতারের ডিশ সাজাতে স্বেচ্ছায় হাত লাগান অনেক মানুষ। তাদের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। মাগরিবের আজানের আগেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশাপাশি বসে যান সব বয়স, শ্রেণি, ও গোত্রের মানুষ।
সেখানেও কোন সাদা-কালো, ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ ছিল না। আজান হওয়ার আগেই যার যার সামনে পৌঁছে যায় ইফতার। আজান হলেই সবাই ইফতার শুরু করেন। এ সময় এক আনন্দঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। এতে বলা হয়, মদিরনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান এ বিষয়ে আগে থেকেই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, মসজিদে নববীতে আসা কোন মানুষ যেন সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হন। তাদেরকে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতা দিতে হবে। তার নির্দেশে আজান হওয়ার অনেক আগে মসজিদের করিডোরে, ছাদে বিছিয়ে দেয়া হয় মাদুর। পানীয় জল ও অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দেয়া হয়। বার বার পরিষ্কার করা হয় মসজিদের ভিতরে। বিশেষ করে মাগরিবের নামাজের পরে। অতিথিদের এ মসজিদে যেতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।