মহাকাশে এবার খোঁজ মিলল এক ‘এলিয়ান নক্ষত্র মণ্ডল’। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানাচ্ছে, নতুন এই নক্ষ্ত্র মণ্ডলের কেন্দ্র সূর্যের থেকে শক্তিশালী নক্ষত্র আছে৷ আটটি গ্রহ নিয়ে মহাকাশে ঘুরে চলেছে এই নক্ষত্র পরিবার৷ যাকে মহাকাশবিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন কেপলার ৯০ নামে৷
কেপলার ৯০ আয়তনে সূর্যের থেকে বড়। এমনকি সূর্যের থেকে এটি অনেক বেশি গরমও৷ পৃথিবী থেকে এই গ্রহটি প্রায় ২,৫০০ আলোকবর্ষ দূরে৷ যেটি দেখতে একেবারেই সৌরমণ্ডলের মত। আটটি গ্রহ নিয়ে তৈরি এই মণ্ডল। এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে গবেষকদের গবেষণায় । আটটি গ্রহের মধ্যে আপাতত একটি গ্রহের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যে গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৪২০ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাথুরে এই জমির উষ্ণতা বুধের তাপমাত্রার কাছাকাছি। এই গ্রহটিও তার নক্ষত্রকে পরিভ্রমণ করতে সময় লাগছে প্রায় ১৪দিন৷ তবে, বিশেষ নক্ষত্রকে ঘিরে থাকা আরও সাতটি গ্রহের হদিশ মেলেনি এখনও৷
তবে, এলিয়ানদের তৈরি এই বিশেষ মণ্ডলটি ঠিক কতটা বড়? সেই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যতটা৷ এই নক্ষত্রমণ্ডলের দৈর্ঘ্যও ঠিক ততটাই৷ কেপলার প্ল্যানেট হান্টিং টেলিস্কোপ মারফত কেপলার ৯০র সন্ধান মিলেছে। স্পেস রক থেকে অনবরত বিজ্ঞানীদের কাছে এসে জমা হচ্ছে সিগনাল। রেডিও টেলিস্কোপ মারফত মহাকাশ থেকে সিগন্যাল আসছে নাসা বিজ্ঞানীদের হাতে৷ যে টেলিস্কোপটির নাম আউমুয়ামুয়া। এই সমস্ত সিগন্যাল গুলোতেই ধরা পরেছে বেশ কিছু অদ্ভুত সিগন্যাল৷ যেগুলি থেকেই বিজ্ঞানীরা সন্দেহ করছেন এখানে প্রাণের হদিশ মেলার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ যেগুলি এলিয়ান বলেই সন্দেহ করছেন বিজ্ঞানীরা৷ এমনকি সিগনালে ধরা পরেছে এলিয়ান ভেইকেলেরও৷ আপাতত এই সমস্ত সিগনাল গুলো থেকেই পর্যালোচনা করছেন বিজ্ঞনীরা৷ কেপলার৯০-তে কি সত্যিই এলিয়ানদের বাস রয়েছে? তা দেখতে উদগ্রীব গোটা বিশ্ব।