মাছের ডিম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আমাদের শরীরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসকদের মতে, মাছের ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের বহু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
নিউট্রিশন ভ্যালু ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারে পরীক্ষা অনুযায়ী, ১ টেবিল চামচ (১৬ গ্রাম) মাছের ডিমের নিউট্রিশন ভ্যালু হল- ক্যালোরিজ – ৪২ ফ্যাট – ৩ গ্রাম সোডিয়াম – ২৪০ মাইক্রোগ্রাম কার্বোহাইড্রেট – ০.৬ গ্রাম ফাইবার – ০ গ্রাম সুগার – ০ গ্রাম প্রোটিন – ৪ গ্রাম।
চলুন দেখে নেই মাছের ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কেঃ
১. মাছের ডিমের মধ্যে থাকা ইপিএ, ডিএইচএ এবং ডিপিএ (এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহায়তা করে।
২. গবেষকদের মতে, মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
৩. মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিএইচএ এবং ইপিএ শিশুদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে ও রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নত করে।
৪. মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে তোলে। যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে খুবই সহায়ক।
৫. মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন ডি হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দাঁতকে মজবুত করে ও ভালো রাখে।
৬. মাছের ডিমে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে।
৭. মাছের ডিমের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এছাড়া প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
৮. মাছের ডিমে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।