জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত ৮ ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধ করার জন্য বিএসটিআই থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্টান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, এর ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ৬টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও ২টি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গিয়েছে। বিএসটিআই’র নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয়।
এই পণ্যগুলো হচ্ছে পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রাঃ) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, এস. জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, কিউ. সি ইন্টারন্যাশনাল এর নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রাঃ) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রাঃ) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিম, এবং হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রি।
বিএসটিআই থেকে বলা হয় নির্দেশ মানা না হলে আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসাথে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার হতে বিরত থাকার জন্য ক্রেতা সাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাসাধারণকে পণ্য ক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।