ডিএমপি নিউজঃ সকাল হলে যেখানে শুরু হতো মাদকাসক্তিদের আনাগোনা। চলত গভীর রাত পর্যন্ত। মাদকের বেচাবিক্রি ও হাঁকডাকে কলুষিত থাকত চারপাশ। জায়গাটি ছিল মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকা। বর্তমানে চিত্রটা পাল্টিয়ে নতুন রূপ নিয়েছে সাততলা বস্তির মাদকের আখড়া খ্যাত মাদক বিক্রেতা সীমা ও রিমার অবৈধ বাড়িটির। এখন মাদকের পরিবর্তে ঐ বাড়িটি ছোট বাচ্চাদের হৈ হল্লা ও পড়া-লেখায় মুখরিত থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে মাদকের আখড়া থেকে ঐ বাড়িটি রূপান্তরিত হয়েছে ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টারে’।
ডিএমপি’র চলমান মাদক বিরোধী অভিযান ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের ফলে কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী সীমা ও রিমা টিকতে না পেরে গা ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদক বেচাকেনায় ব্যবহৃত বাড়িটিকে বানিয়েছে ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’। এর আগেও রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মাদক সম্রাট আঃ জলিলের বাড়িটিকে বানানো হয় ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’।
আজ সকাল ১১টায় ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে মাদকের আখড়া ভেঙ্গে তাতে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় সাথে ছিলেন বনানী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম জসিমউদ্দিন।
ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধনের পর কমিশনার বলেন, ‘সাততলা বস্তির এই বাড়িটি ছিল সরকারী জায়গা। এখানে অবৈধ বাড়ি বানিয়ে মাদক ব্যবসা করত সীমা ও রিমা। সাততলা বস্তিতে ছিল মাদকের ছড়াছড়ি । এই ডে কেয়ার সেন্টারের জায়গা ছিল মাদক সেবীদের আখড়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’টি নির্মান করা হয়েছে। এটি কমিউনিটি বেইজড একটি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অনুদানে চলবে এই ডে কেয়ার সেন্টার। সাততলা বস্তিতে বসবাসরত অধিকাংশ নারীরা কর্মজীবি। এই ডে কেয়ার সেন্টার তারা তাদের সন্তানকে রেখে নিশ্চিন্তে কর্মস্থলে যেতে পারবে। ডে কেয়ার সেন্টারে বাচ্চাদের যত্নের পাশাপাশি শেখানো হবে পড়া-লেখা ও খেলাধুলা। বাচ্চাদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে এই জায়গাটি।’
মাদক বিক্রেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে কোন মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান হবে না। যারা মাদকের পৃষ্টপোষক, আশ্রয়দাতা, অর্থদাতা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর পরপরই গুলশান বিভাগের আয়োজনে জনস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত আইপিএইচ স্কুলে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে এক হাজার ঈদবস্ত্র বিতরণ করেন কমিশনার।
‘কমিউনিটি ডে কেয়ার সেন্টার’ উদ্বোধন ও ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।