যেসব মাদরাসার নামের সঙ্গে ‘ক্যাডেট’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল’ শব্দ দুটি যোগ করা হয়েছে অবিলম্বে তা বাদ দিতে হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এই আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে ক্যাডেট মাদরাসার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত ১১ দফা সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বলা হয়।
অননুমোদিতভাবে প্রতিষ্ঠিত এ ধরনের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারি অনুমতি নিতে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে একজন জেলা বা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি থাকবেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত আবশ্যিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় দিবসগুলো বাধ্যতামূলকভাবে পালন করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত বই পড়া ও পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি করবেন।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটর করতে হবে। অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন-ভাতা ও টিউশন ফি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো নির্ধারণপূর্বক পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সূত্র জানায়, মাদরাসার নামের সঙ্গে ক্যাডেট ও ইন্টারন্যাশনাল শব্দ জুড়ে দিয়ে ভর্তি ও বেতনে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক মাদরাসা এনসিটিবির কারিকুলাম অনুসরণ না করে নিজেদের পছন্দমতো বই পড়তে বাধ্য করে। নিয়মিত তদারকিতে থাকলে এসব প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটবে না। এসব বিষয় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রণালয়।