ডিএমপি নিউজঃ ‘আমরা নিজেরা ঈদের নামাজ না পড়ে সাধারণ মানুষের নামাজের নিরাপত্তা দিয়েছি। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে ঈদে নগরীর আইন শৃংখলা রক্ষা করেছি। এর থেকে ভালো কাজ আর কি হতে পারে। মানুষের নিরাপত্তা দেয়া ও সমাজের শৃংখলা রক্ষা করা বড় ধরণের ইবাদত।’
আজ সকাল ১০ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সদর দপ্তরে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে আগত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে উৎসবমূখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছি। শুধু ঢাকা সিটিতে না, সারাদেশে উল্লেখযোগ্য কোন বড় অপরাধ সংঘটিত হয়নি। ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ও কঠোর ছিল। ঈদের আগে নগরবাসী নিরাপদে গভীর রাত পর্যন্ত শপিং করে বাড়ি ফিরেছেন। আমরা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে নিয়েছিলাম বিশেষ ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগরবাসী নিরাপদে উৎসবমূখর পরিবেশে নিজ নিজ গৌন্তব্যে ঢাকা ছেড়েছেন। ঈদের ছুটিটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্চ। ঈদে অধিকাংশ বাসা-বাড়ি, অফিস ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খালি থাকে। এ সময় যাতে চুরি-ডাকাতি বেড়ে না যায় তার জন্য আমরা সিকিউরিটি গার্ডের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দিচ্ছি। সেই সাথে থানা পুলিশের টহল ডিউটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের সময়টায় ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষভাবে বলা হয়েছে কোন অবস্থায় মোটরসাইকেলে তিন জন চড়তে পারবে না। এমন কাউকে দেখলে ব্যবস্থা নিতে। যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা যারা ঈদে ছুটিতে যায়নি তারা একটু বেশি পরিশ্রম করে বাকি দিনগুলো বেশি নিরাপত্তা দিতে হবে।’
আমাদের দায়িত্বে কোথাও কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ভবিষতেও আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাব। পেশাদারিত্বের সাথে যার যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় সকলকে ধন্যবাদ দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় তিনি ঈদ পুনর্মিলনীতে আগত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল স্তরের পুলিশ সদস্যকে ঈদের মোবারকবাদ জানান।