১৪ জুলাই শুক্রবার ট্রাক থেকে নামানোর সময় পড়ে গিয়ে প্রচণ্ড আঘাত পায় রাজলক্ষ্মী। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাত দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত মারাই গেল ‘রাজলক্ষ্মী‘ নামের সেই বিশাল হাতিটি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাতিটির মালিক সিরাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজলক্ষ্মীকে উদ্ধারে মালিক, ভেটেরিনারি সার্জন, সরকারি কর্মকর্তা ও বন বিভাগের লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নিরোদ চন্দ্র সরকার জানান, রাজলক্ষ্মীর ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে। তার বয়স প্রায় ৩৫ বছর।
রাজলক্ষ্মীর মালিক সিরাজুল ইসলামের দাবি, এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে হাতিটি লিজ নেন। ফেরত দেয়ার সময় রাজলক্ষ্মী পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। ডা. নিরোদ চন্দ্র সরকার জানান, হাতিটি মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে হাতিটি খাবার বন্ধ করে দেয়ায় তাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছিল।
হাতির মালিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামে। তিনি জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে নরসিংদীর কাজল খানের কাছে হাতিটি লিজ দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল, মালিকের যখন দরকার পড়বে তখন তিনি হাতিটি ফেরত দেবেন এবং কোথাও নিয়ে গেলে হেঁটে নিয়ে যাবেন। কিন্তু কাজল খান হাতিটি ফেরত দেয়ার সময় এটিকে ট্রাকে করে নিয়ে যান।
গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রাকে রওনা দেন। রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডের ৫নং পুল এলাকায় হাতিটি ট্রাক থেকে নামান। এ সময় হাতিটি পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় বলে অভিযোগ মালিক সিরাজুলের।
তবে কাজল খানের দাবি গাড়িতে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে হাতিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।