দুই দফা হারের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কোনো চুক্তি ছাড়াই নির্ধারিত তারিখে কার্যকর করা নিয়ে বরিস বলেছেন, খাদের কিনারে গিয়ে যদি মারা যাই তবুও ব্রেক্সিট পেছাবো না।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী বরিস জনসন বলেছেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। কিন্তু বরিসকে হারিয়ে সংসদীয় কার্যবিধির নিয়ন্ত্রণ পাওয়া বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছে, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট আটকাতে তারা বদ্ধ পরিকর।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ছোট ভাই জো জনসন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ও তার ভাইয়ের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভাই বরিস জনসন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী হলেও ২০১৬ সালের গণভোটে তিনি যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
বরিসের চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট (নো ডিল ব্রেক্সিট) আটকাতে বিরোধী দলের তোলা প্রস্তাব নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম দফার ভোটে হেরে যান বরিস জনসন। কেননা ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপি বিরোধীদের ওই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিলেন। তারপর সেসব এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন বরিস।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটাভুটিতে প্রথম দফা হারার পরদিনই আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তুললে দ্বিতীয় দফার ভোটেও হেরে যান প্রধানমন্ত্রী বরিস। তারপর থেকে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে তার সরকার। ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে।