মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে চীনে পণ্য উৎপাদন করে এমন কিছু সংস্থা কৌশলী পদক্ষেপ নিতে পারে৷ যেহেতু চীনে উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে গেলে বেশি হারে শুল্কের চাপ আসছে ৷ এবার তা মোকাবিলা করতে ওই সংস্থাগুলি এবার কাছে পিছে এমন দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে যেখান থেকে আমেরিকায় পণ্য পাঠালে অত শুল্কের বোঝা সামলাতে হবে না৷
আর সেক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশ হিসেবে সুবিধা হতে পারে ভিয়েতনামের৷ এমনিতেই এই প্রতিবেশি দেশটি ব্যবসা বান্ধব হিসেবে ইতিমধ্যের নিজেকে কিছুটা প্রতিষ্ঠা করেছে বিশেষত এখানকার সস্তা শ্রমিক লগ্নির পক্ষে খুবই সহায়ক। ফলে চীন থেকে বিনিয়োগ সরে আসতে পারে ভিয়েতনামে ৷
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস এর ম্যারি লাভলির অভিমত, চীনে শ্রমিকদের মজুরি অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই তার সুফল পেতে শুরু করেছে।
কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাতে চীন থেকে লগ্নি ভিয়েতনামের দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে যে পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ হয়েছে তা ২০১৮ সালের মোট বিনিয়োগের ৬৫ শতাংশ।