ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনী যৌথ মহড়ার প্রথম দিনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের দুটি যুদ্ধজাহাজকে সতর্ক করেছে।
মহড়ার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সাইয়্যেদ মাহমুদ মুসাভি জানান, প্রথম দিনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের দুটি যুদ্ধজাহাজ মহড়াস্থলের দিকে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ইরানের নৌবাহিনীর গোয়েন্দা ড্রোন তা শণাক্ত করে এবং কমান্ড সেন্টারে তথ্য পাঠায়। এরপর ইরানের টহল ও গোয়েন্দাবিমান মার্কিন জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যায় এবং জাহাজ দুটিকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে। ইরানি বিমানের বার্তা পেয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাহাজগুলো সেখান থেকে চলে যায়।
এর আগে, সামরিক বাহিনীর সমন্বয় বিষয়ক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারির নির্দেশে ‘মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (স)’ নামের যৌথ মহড়া সোমবার সকালে শুরু হয়। ইরানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় বিশাল এলাকাজুড়ে যৌথ সামরিক মহড়া চলছে। ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মাকরান উপকূল এবং ওমান সাগর উপকূলের ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মহড়া চলবে।
এদিকে, দু দিনব্যাপী মহড়ার প্রথম দিনেই ইরানের সেনারা ফজর-৫ রকেট ও নাজেয়াত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অনুশীলন করেছে। মহড়ার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সাইয়্যেদ মাহমুদ মুসাভি এ তথ্য দিয়েছেন। কল্পিত শত্রুর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয় এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। দিনের শেষ দিকে ইরানের স্পেশাল ফোর্স ও কমান্ডো ইউনিট নিজেদের পানিসীমায় অনুপ্রবেশ রুখে দিতে কল্পিত শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে। এছাড়া, ইরানের উপকূল রক্ষায় নৌবাহিনীকে সহায়তার মহড়া চালায় স্থলবাহিনী। মহড়া পর্যবেক্ষণ করছে খাতামুল আম্বিয়া বিমানঘাঁটি।