পারস্য উপসাগরে ঘুরছে আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সি স্টেইনিস। গত শুক্রবার যা খুব কাছাকাছি চলে আসে ইরানের জলসীমার। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছে তেহরান। একই সঙ্গে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সি স্টেইনিস ইরানের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না বলে দাবি করা হয়েছে ওই দেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক শিতল হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ওয়াশিংটনের মিত্র রাষ্ট্রগুলিকেও ইরান থেকে তেল কিনতে নিষেধ করা হয়। সেই তালিকায় ভারতও ছিল। অনেক রাষ্ট্র আমেরিকার আহ্বানে সাড়া দিলেও দিল্লি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে সমুদ্র সীমানায় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সি স্টেইনিসের অবস্থানের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর উপপ্রধান সমন্বয়ক রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি। তিনি বলেছেন, “আমরা কখনই আমেরিকার কোনো জাহাজকে আমাদের সমুদ্র সীমানায় ঢুকতে দেব না।”
তিনি আরো বলেন, “ইউএসএস জন সি স্টেইনিসকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও সেনাবাহিনীর জবাব হবে, তারা কখনো মার্কিন জাহাজকে ইরানি সমুদ্র সীমানায় কাছে আসতে দেবে না।”
এ ব্যাপারে ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “ইউএসএস জন সি স্টেইনিসের উপস্থিতি ইরানের কাছে গুরুত্বহীন। এসব জাহাজ আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কারণ আমরা অনেক বেশি প্রস্তুত এবং এ ধরনের চটকদার প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেশি।”