গত ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছিল, শক্তি প্রদর্শন করে নতুন অস্ত্র পরীক্ষা থেকে উত্তর কোরিয়াকে বিরত রাখতে মার্কিন নৌ স্ট্রাইক গ্রুপ কার্ল ভিনসন সিঙ্গাপুর থেকে পূর্বনির্ধারিত কার্যসূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার দিকে না গিয়ে উল্টো দিকে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে একটি আর্মাডা (নৌবহর) পাঠানো হয়েছে। ’
কিন্তু বাস্তবে ওই নৌ স্ট্রাইক গ্রুপটি গত কয়েক দিনে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে না গিয়ে ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়েছে। এটি ওই পথে বর্তমানে সুন্দা প্রণালি পার হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ বন্দরের সফর বাতিল করেছে। কিন্তু ৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হওয়ার পর কার্যসূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে দেশটির সঙ্গে একটি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এখন আদেশ অনুযায়ী স্ট্রাইক গ্রুপটি ‘পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ’
সংবাদমাধ্যম বিবিসির কোরিয়া সংবাদদাতা স্টিফেন ইভান্স জানান, স্ট্রাইক গ্রুপটির উত্তর কোরিয়ার দিকে না যাওয়ার বিষয়টি ‘ইচ্ছাকৃত ছলচাতুরী’ কি না তা পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা করার পর সম্ভবত পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়েছে অথবা কোনো যোগাযোগ ব্যর্থতার কারণে এমন হয়েছে।
তবে উত্তর কোরিয়া কোনো হামলা করলে যুক্তরাষ্ট্র তার ‘অপ্রতিরোধ্য ও কার্যকর’ জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। জাপানের ইয়োকোসুকায় বিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানের ডেকে দাঁড়িয়ে গতকাল বুধবার এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে থাকাকালেও তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতি এমন কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। গতকাল মার্কিন ও জাপানি সেনা সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব এশিয়ার আকাশে ঝোড়ো মেঘের ঘনঘটা চলছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া সবচেয়ে ভয়াবহ হুমকি তৈরি করেছে। যেকোনো ধরনের হামলা কিংবা প্রচলিত ও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে যুক্তরাষ্ট্র অপ্রতিরোধ্য ও কার্যকর জবাব দেবে। ’