ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর মিরপুরে চাঞ্চল্যকর দন্তচিকিৎসক বুলবুল আহমেদ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রায়হান ওরফে সোহেল ওরফে আপন, মোঃ রাসেল হোসেন হাওলাদার, মোঃ আরিয়ান খান হৃদয় ও সোলায়মান।
বুধবার (৩০ মার্চ ২০২২) ঢাকার মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকা এবং ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ ২০২২) বেলা ৩:০০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ভিকটিম বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক ও ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার। কিছুদিন পূর্বে নোয়াখালীতে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান। গত ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:১৫ টায় নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা হতে শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় ভোর আনুমানিক ০৫:৩০ টায় পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণির নাভানা ফার্নিচার শোরুমের সামনে পৌঁছলে কতিপয় দুস্কৃতিকারী রিকশার গতিরোধ করে। দুস্কৃতকারীরা ভিকটিমের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম বাধা প্রদান করলে দুস্কৃতকারীরা ভিকটিমকে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর ভিকটিমকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বুলবুলের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে ও তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখ (রবিবার) ভোর ০৪:০০ টায় গ্রেফতারকৃতরাসহ মোট পাঁচজন মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণি এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ চক্রের অপর সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
ব্রিফিংকালে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম(বার); গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, পিপিএম (বার); মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন; গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সৈকত শাহীন; মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ ও গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।