ডিএমপি নিউজঃ পুলিশ সদস্যরা যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ।
শনিবার সকালে রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকার আল ওয়াফি কনভেনশন সেন্টারে ‘মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য একনিষ্ঠভাবে পালনের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারেন। এ লক্ষ্য অর্জনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যদের প্রতি মাদকের সম্পৃক্তার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদকে আসক্ত থাকেন, তবে তিনি যেন আত্মসমর্পণ করেন। তাহলে আমরা বিনা খরচে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। আর যদি কোন পুলিশ সদস্যের মাদাকাসক্তের সংবাদ পাওয়া যায়, তবে যে কোন সময় ডোপ টেষ্টের মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়াও কোন পুলিশ সদস্য যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আর্থিক বা অন্য কোন ভাবে সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড সাবান দিয়ে উত্তমরুপে হাত ধুতে হবে। কেননা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শুধুমাত্র চোখ, নাক ও মুখ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসে আক্রান্ত করে। ধূমপানকারীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী বিধায় ধূমপায়ীদের করোনাকালীন সময়ে ধূমপান হতে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ডিউটি শেষে বাসায় প্রবেশকালে সতর্কতার সাথে বাসায় প্রবেশ করতে হবে। যাতে বাসায় অবস্থানরত শিশু বা বৃদ্ধরা প্রাথমিক ভাবে সংস্পর্শে না আসে। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যয়াম বা পরিশ্রম করতে হবে। বেশী করে পানি পান করতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশী-বেশী খেতে হবে।
এ সময় মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পর্যয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।