২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগ থেকে মিশরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারককে বেকসুর খালাস দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
২০১১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ১৮ দিনের গণবিপ্লবে ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত হন মোবারক। কিন্তু বিপ্লবের দিনগুলোতে তার নির্দেশে ২৩৯ বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়। ফলে ২০১২ সালে নিম্ন আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুইবার উচ্চ আদালতে আপিল করেন মোবারক।খবর বাসস’র।
বৃহস্পতিবারের এই রায়ের বিরুদ্ধে আর আপিল করার সুযোগ নেই। কাজেই ৮৮ বছর বয়সী মোবারক এবার কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১১ সালের বিপ্লবের দিনগুলোতে নিহতদের স্বজনরা আপিল আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা ওই গণহত্যার জন্য মুবারকের পাশাপাশি বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আস-সিসিরও বিচার দাবি করেছেন। সিসি ওই সময় সেনা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসি জেনারেল সিসিকে সেনাপ্রধান পদে নিয়োগ দেন এবং ২০১৩ সালের আগস্টে এই সিসির হাতেই ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
সরকারি তহবিল তসরুফের অভিযোগে এরিমধ্যে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছেন হোসনি মোবারক। বর্তমানে তিনি একটি সামরিক হাসপাতালে আটকাবস্থায় ‘চিকিৎসা’ নিচ্ছেন। সাবেক এই একনায়কের বিরুদ্ধে বিপ্লব-পরবর্তী দিনগুলোতে আরো বহু অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেসব অভিযোগের প্রায় সবগুলোতে তিনি নিজের শাসনামলে স্থাপিত বিচার বিভাগের কাছ থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।