জ্যামাইকা টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে সফরকারী পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের অপরাজিত ৯৯ রানে ৪০৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান ১২১ রানে এগিয়ে আছে । দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
৪ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিসবাহ ও আসাদ শফিক। ব্যক্তিগত ২২ রানে শফিক ফিরে গেলে, উইকেটরক্ষক সরফরাজের সাথে জুটি বাঁধেন মিসবাহ। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনের ৮৮ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর টপকে যেতে মূখ্য ভূমিকা রাখে। ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৪ রানে থেমে যান সরফরাজ। ৭০ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকার তালিকায় নাম তুললেন মিসবাহ। ২২৩ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান মিসবাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শানন গ্যাব্রিয়েল ও আলজারি জোসেফ ৩টি করে উইকেট নেন।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ইয়াসির শাহ জাদুতে খেই হারিয়ে দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪ রান করে ফিরেন ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। দ্বিতীয় উইকেটে লড়াই করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আরেক ওপেনার কাইরেন পাওয়েল ও তিন নম্বরে নামা শিমরন হেটমায়ার। পাকিস্তান বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিও ভেঙ্গে পাকিস্তানকে সাফল্য এনে দেন লেগ-স্পিনার ইয়াসির শাহ। ব্র্যাথওয়েটকে ফেরানো ইয়াসির এবার শিকার করেন ৪৯ রান করা পাওয়েলকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর আরও দু’উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির। হেটমায়ারকে ২০ ও শাই হোপকে ৬ রানে তুলে নেন ইয়াসির। দিন শেষে দেবেন্দ্র বিশু ও বিশাল সিং শুন্য রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের ইয়াসির ৪টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৮৬ ও ৯৩/৪, ২৮ ওভার (পাওয়েল ৪৯, হেটমায়ার ২০, ইয়াসির ৪/৩৩)।
পাকিস্তান: ৪০৭/১০, ১৩৮.৪ ওভার (মিসবাহ ৯৯*, বাবর ৭২, জোসেফ ৩/৭১)।