রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধন অভিযান বন্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করেছে। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব এন্ড মেইল এর খবরে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে আলাপ করেছেন। গত সোমবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ আলাপে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগে বিভিন্ন দিক ও উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি। হাউস অব কমন্সে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা নিয়ে এক জরুরি সভায় দেওয়া বক্তব্যে ফ্রিল্যান্ড মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জানা দরকার রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে তাদের ভূমিকার কথা সারা বিশ্ব জানে এবং আমরা কখনোই তাদের পক্ষে দাঁড়াবো না।
পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি গার্নেট জিনুইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ডের কাছে জানতে চান রাখাইনে নৃশংসতা শুরুর পর থেকে তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল হেইংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডা সহিংসতা বন্ধের জন্য সরাসরি মিয়ানমার সেনা নেতৃত্বকে চাপ দিয়েছে। তবে জেনারেল হেইংয়ের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, বর্তমান সংকটে কানাডার তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে- জাতিগত নিধনযজ্ঞ বন্ধ করা, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা এবং রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পর নিপীড়নমুক্ত জীবন-যাপনের সুযোগ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করা।