মুক্তামনির জন্য এ-পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মুক্তামনিকে দ্বিতীয়বার অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। এসময় বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান. ডা. লতা। আর অ্যানেসিথেশিয়ার বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেন ইমাম শনিবার বলেন, ‘সকালে অপারেশনের পর আইসিইউতে নেওয়ার পর থেকেই তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্ত বন্ধে আমরা তাকে দ্বিতীয়বার ওটিতে নিয়েছি। প্রয়োজনীয় রক্তদাতা থাকলেও আমরা আশা করছি আরও মানুষ আসুক। কারণ চারজন মানুষের চারব্যাগ রক্ত থেকে এক ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়। সুতরাং অনেক মানুষ দরকার যাতে অনেক প্লালিলেট পাওয়া যায়।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে।