আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, অধিকারকর্মী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম লেনিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। সেসময় তিনিসহ ১২৩ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পান। পেশাজীবনে ভাস্কর হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় নানা বাড়িতে জন্ম তার। বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।
১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়েসে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অবিরামভাবে অব্যাহত রাখেন।
শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় তাকে। এছাড়াও তিনি ‘হিরো বাই দ্য রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন’, ‘চাঁদেরনাথ পদক’, ‘অনন্য শীর্ষ পদক’, ‘রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার (ওয়াইডব্লিউসিএ)’, ‘মানবাধিকার সংস্থার মানবাধিকার পুরস্কার’সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।