বিধি অনুযায়ী যে কোনো সরকারি চাকরিতেই ৩০ শতাংশ পদে নিয়োগ পাবেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। কোনো চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই পদে লোক নিয়োগ বন্ধ থাকে।
এ অবস্থায় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে ওই সব পদ পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আজকের (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করার জন্য আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে বেশিরভাগ পদই কোটার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়। প্রথম শ্রেণীর চাকরির মাত্র ৪৫ শতাংশ পূরণ হয় মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৫৫ শতাংশই পূরণ করা হয় কোটার ভিত্তিতে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ৫ শতাংশ এবং জেলা কোটা বা সাধারণ কোটা ১০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে ২৮তম বিসিএসে ৯১টি, ২৯তম বিসিএসে ৪৫টি, ৩০তম বিসিএসে ৮৫টি, ৩১তম বিসিএসে ৩৬টি, ৩২তম বিসিএসে ১৩টি, ৩৩তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণীর ৯১টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৮৫টি এবং ৩৪তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণীর ৬২টি ও দ্বিতীয় শ্রেণীর এক হাজার ২৪৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
এসব পদের উপযুক্ত প্রার্থী মেধা কোটায় থাকার পরও তাতে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এ কারণে বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পদ সংরক্ষণ না করে মেধা কোটায় নিয়োগ দেয়ার সুপারিশের সুযোগ চায় পিএসসি। শুধু বিসিএসেই নয়, অন্যান্য সরকারি চাকরিতেও এ সুযোগ চায় তারা।
সূত্র: যুগান্তর।