আমাদের মুখের ভিতরে কলোনি তৈরি করে কিছু ব্যাকটেরিয়া, আর যখনই সুযোগ পায় ক্ষতি করে দাঁতের, সেইসঙ্গে এমন গন্ধ সৃষ্টি করে যে লোকসমাজে মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায়ই থাকছে না ।মুখে দুর্গন্ধের মতো বিব্রতকর বিষয় আর নেই। অনেকে এই সমস্যায় ভুগলেও কোনও সমাধান খুঁজে পান না। তবে কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে নিজেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। চলুন দেখে নেয়া যাক মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন-
লবঙ্গঃ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা মুখে গন্ধ তৈরি করা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ১-২টা লবঙ্গ নিয়ে চুষতে থাকুন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন গন্ধ একেবারে চলে গেছে।
মেথি বীজঃ এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে পরিমাণ মতো জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেই জলটাকে ফোটান। তারপর বীজগুলিকে ছেঁকে নিয়ে সেই জল চায়ের মতো পান করুন। কয়েকদিন এমনটা করলে দেখবেন মুখের গন্ধ কমে গেছে।
তাজা ফলঃ ফাইবারসমৃদ্ধ ফল আপেল, পেয়ারা, গাজর ও আনারস। এই ফলগুলো দাঁতে আটকে থাকা খাদ্যকণা বের করে আনে। তাই এই ফল বেশি খেলে মুখের দুর্গন্ধ কম হয়।
গ্রিন টিঃ মুখের খাবার জমে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাকটেরিয়া মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। গ্রিন টি খাবার পরে পান করতে পারেন। যা মুখের ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধা দেয়।
বেকিং সোডাঃ শরীরের ভেতরে অ্যাসিড লেভেল ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এই ধরণের সমস্যায় যদি ভুগে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস জলে অল্প পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারঃ এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের আগে অল্প পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে পান করতে হবে।
পুদিনা পাতাঃ একে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যেতে পারে। তাই মুখে গন্ধ হলে ২-৩টা পুদিনা পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। তাহলেই কেল্লাফতে!
দারুচিনিঃ মুখের ভিতরে তৈরি হওয়া জীবাণু মেরে ফেলতে দারুচিনির কোনো বিকল্প নেই। তাই মুখ থেকে গন্ধ বেরলেই এক চামচ দারচিনির পাউডারের সঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই জল ছেঁকে নিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন গন্ধ চলে যাবে।