গতকাল থেকে কোন খাবার খাচ্ছেন না। সামান্য দুধ খেয়ে ঠেলে দিয়েছিলেন গ্লাস। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, প্রবল টেনশনের ছাপ মুখেচোখে ছিল স্পষ্ট। সেই রকস্টার বাবা গুরমিত রাম রহিম সিংহ গতকাল দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিবিআই বিশেষ আদালতের সামনে।
হাতজোড় করে বিচারপতিকে বললেন, মুঝে মাফ কর দো! কয়েক বার অস্ফুট স্বরে বলতে শোনা গেছে, আইনের প্রতি নাকি তার অগাধ আস্থা। আদালতের রায় মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু যাই বলার চেষ্টা করুন, কান্না থামেনি। রায় শোনার পর ফোঁপাতে ফোঁপাতে আদালত চত্বরেই তিনি বসে পড়েন। তাকে প্রায় জোর করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। তখনও তিনি বিচারকের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, রেহাই দিন দয়া করে! ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে কান্নাভেজা গলায় চিৎকার করেন আমি গডম্যান, কেউ বাঁচাও আমাকে!
এর মধ্যে ইসিজি করা হয়েছে রাম রহিম সিংহের। উদ্বেগজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
তবে সিবিআই-এর অস্থায়ী বিশেষ আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি অসুস্থতার নাটক করেন বলে মনে করছে একটি সূত্র। সে সময় তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমার শরীর খারাপ লাগছে। কিছু যদি হয়ে যায় রাষ্ট্র দায়ী হবে! কারা সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকালের দিনটা যেমন তেমন করে কাটিয়েছেন রাম রহিম। কিন্তু সমস্যা হয়েছে রাতে।
ওয়ার্ড নম্বর-১ ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল তার জন্য। কিন্তু সেখানে মাত্র একটা ফ্যান চলছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বিলাসবহুল শয্যায় অভ্যস্ত বাবার কাছে ভাদ্র মাসের গরমে যা সহ্য করা দুষ্কর। তবে সেই আর্তিতে কেউ কান দেয়নি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে নিজের শৌখিন রেশমি পোশাক ছেড়ে কয়েদির পোশাক পরতে। তাঁকে এ বার থাকতে হবে সংশোধনাগারের কুঠুরিতেই, অন্য কয়েদিদের সঙ্গে।