শুরুতে মনে হচ্ছিল ঢাকা হয়তো বেশি দূর যেতে পারবেনা। ৩৫ রানে নেই ৩ উইকেট। খুলনা টাইগার্সের বোলাররা শুরুতে একদম চেপে ধরেছিল । কিন্তু মুমিনুল-মেহেদী সেখান থেকে ঢাকাকে ২০৫ রানের স্কোর এনে দেয়। তাদের জুটিতে আসে ১৫৩ রান।
দলের বড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন মুমিনুল হক আর মেহেদী হাসান। তাদের ১৫৩ রানের বিধ্বংসী জুটিতে ভর করেই মিরপুরে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক লড়াইয়ে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ঢাকা প্লাটুন।
শেষ পর্যন্ত এই জুটিটা ভাঙে ১৯তম ওভারে মুমিনুল ফ্রাইলিংকের শিকার হলে। ধীরগতিতে শুরু করা মুমিনুল ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পরই আগ্রাসী রূপ নিয়েছেন। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। হয়নি। ৫৯ বলে ৭ চার আর ৪ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি থামে ৯১ রানে। এটিই বিপিএলে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৬ সালের বিপিএলে করা ৬৪ রানই ছিল এতদিন মুমিনুলের সেরা ইনিংস।
মুমিনুল ফেরার পরও তাণ্ডব চালিয়েই গেছেন ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেয়া মেহেদী হাসান। এবারের বিপিএলে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে সবাইকে চমকে দেয়া এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে।