অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে মানবদেহে ক্যান্সারের সূত্রপাত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এখন পর্যন্ত ২০০ প্রকারের ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হলেও বাস্তবিক অর্থে এখনো ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।
তবে এবার আশার বাণী শোনাচ্ছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এআইএসটি) এর গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এমন এক ধরনের শঙ্কর প্রজাতির ডিম তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
ওষুধের দ্বারা বেশকিছু মুরগির শুক্রাণুতে জিনগত পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের দাবি, এসব মুরগির সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে নতুন শঙ্কর প্রজাতির মুরগি তৈরি করা হয়েছে, তার ডিম ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। আর জিনের এই পরিবর্তন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন ইন্টারফেরনস নামে দুর্মূল্য ওষুধ। ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, স্কেলারোসিসের মতো আক্রান্ত রোগীদের এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
এই ওষুধ এতটাই দুর্মূল্য যে, মাত্র কয়েক মাইক্রোগ্রামের দাম ৮৮৮ ডলার। অর্থাৎ এই ডিম যে আমজনতার সাধ্যের মধ্যে হবে, তা বলা যাচ্ছে না। যদি এই গবেষণা সফল হয় তাহলে, সোনার ডিমের আশা ছেড়ে ক্যান্সার প্রতিরোধক ডিম পেতে একটা মুরগি কিনে ফেলতেই পারেন!