যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আঁতাত করেননি। এমনটি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছেন মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলার। মুয়েলার ওই তদন্ত প্রতিবেদনের একটি সারসংক্ষেপ রোববার কংগ্রেসের সামনে উপস্থাপন করেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পদকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে এ তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেছেন কিনা- সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো উপসংহার টানেননি মুয়েলার । আবার ট্রাম্পের কোনো দায় ছিল না- এমন কথাও সেখানে বলা হয়নি।
“আমাদের দেশকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, এটা লজ্জার,” বলেছেন ট্রাম্প।
এই তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ২২ মাসের মাথায় মুলার তার প্রতিবেদন জমা দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের কাছে। এই সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের সাবেক ছয়জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বিচারের মুখোমুখি করেছেন তিনি, কয়েকজনকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।
মুলার তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অপরাধ করেছেন- এরকম কোনো উপসংহার এই প্রতিবেদন টানছে না। এই প্রতিবেদন তাকে দায়মুক্তিও দিচ্ছে না।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে তৎকালীন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত ছিল, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের সঙ্গে বড় একটি রুশ দলের যোগসাজশ ছিল যারা ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিতে নানারকম ব্যবস্থা নিয়েছিল; নির্বাচনের সময় থেকেই এমন অভিযোগ ব্যাপক পরিসরে শুরু হয়েছিল। অভিযোগগুলো তদন্তে কিছু সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই। তখন থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রায় দুই বছর চলল এই তদন্ত প্রক্রিয়া। অবশ্য ট্রাম্প এবং অন্যান্য অধিকাংশ রিপাবলিকান শুরু থেকেই এই তদন্তকে ‘ভুয়া অনুসন্ধান’ বলে এর নিন্দা জানিয়ে আসছেন। ট্রাম্প আর পুতিনও বরাবরই এ জাতীয় সব ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে এসেছেন।