ডিএমপি নিউজঃ মহেশখালী থানার মামলা নং-৩৭, তারিখ-২৯/১২/২০১১, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪৩৬/৩৭৯/৩৮০/৩০৭/৩২৬/৩০২/৪২৭ দন্ডবিধি এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/শ্রী পরেশ কুমার কারবারী গত-১৮/০১/২০১২ তারিখে গোপন সূত্রে সংবাদ পান যে, এ মামলার আসামীরা মহেশখালী থানাধীন হোয়নক ইউনিয়নের পূর্ব কাঠালতলী পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদটির ভিত্তিতে তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গত-১৮/০১/২০১২ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৫০ টায় রওয়ানা হয়ে কাঠালতলী পাড়ায় পৌঁছে আসামীগণকে উক্ত স্থানে অবস্থান করতে দেখেন। এসআই/শ্রী পরেশ কারবারী এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অগ্রসর হয়ে পূর্ব কাঠালতলী পাড়া “মা-বাবার দোয়া ভাই ভাই যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি”-এর অফিসের সামনে রাস্তার উত্তর পাশে পৌঁছালে আসামীরা তাদের নিকট থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। অনুমান ০৯.১০ টার সময় আসামী আয়ুব আলী তার হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এসআই/শ্রী পরেশ কুমার কারবারী ও সঙ্গীয় ফোর্সদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করলে এসআই/শ্রী পরেশ কুমার কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা জীবন ও সরকারি অস্ত্র ও গুলি রক্ষার্থে সর্বমোট ৩১ (একত্রিশ) রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। একপার্যায়ে আসামীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। আসামীদের ছোঁড়া গুলিতে কনস্টবল ৩৯১ মোঃ নুরুল ইসলামের বাম পায়ে এবং সঙ্গীয় কনস্টবল ৫১৯ সাকনাও মুরং বাম হাতে আঘাত পান। গুলিবিদ্ধ গুরুতর জখম অবস্থায় এসআই/শ্রী পরেশ কুমার কারবারীকে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই/শ্রী পরেশ কুমার কারবারী চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত এবং পরিবর্তী সময়ে মৃত্যু বরণ করেন। তার এরূপ অসীম সাহসী ভূমিকা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-(মরণোত্তর) সাহসিকতা” পদকে ভূষিত করা হয়।
তিনি ১৯৭৫ সালে কনস্টবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন।