মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত নিরাপদ নয়৷ কারণ সেখান থেকে প্রবেশ করতে পারে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী৷ এই সীমান্ত সিল করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাই সেখানে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷
হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, এখন থেকে সেনা মোকাবিলা করবে সীমান্তে তৈরি হওয়া এই সমস্যা৷ এরজন্য হোয়াইট হাউস থেকে যাবতীয় রসদ যোগানো হবে৷ ট্রাম্পের এই ঘোষণাতে কিছুটা হলেও চিন্তায় মেক্সিকো৷
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোর বেশ কিছু শহর প্রায় ১ হাজার ২০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ এতেই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর মতে এই শরণার্থীদের দেশে ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি মেক্সিকোর৷এই ঘটনায় তিনি মেক্সিকোর ওপর ক্ষুব্ধ৷এই ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে আমেরিকা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন,মেক্সিকো শরণার্থী ঠেকাতে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে, এর আগে হন্ডুরাস থেকে একটি ক্যারাভ্যানে করে শরণার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা দিয়েছে, এমন খবর পাওয়ার পর দেশটির সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপদ করার জন্য ট্রাম্পের আগে দুজন প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন। মূলত গুয়েতেমালার মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর বাসিন্দা ওই দলের সদস্যরা। তাদের কারও উদ্দেশ্য কোনও মতে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া আর কারও ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা৷
এই শরণার্থী দলটি মেক্সিকোর যে শহরগুলো পেরিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোথাওই বাধা পাননি তারা৷ শুধু তাই নয়, বেশ কিছু সুবিধাও রাখা হয়েছে তাদের জন্য৷ ব্যবস্থা করা হয়েছে বাসস্থানের৷ পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের দিকে যেতে গাড়ির ব্যবস্থাও করে দিয়েছে মেক্সিকোর শহরগুলো। আপাত দৃষ্টিতে এমন কাজকে মেক্সিকোর শহরগুলোর সহযোগিতা মনে হলেও, শরণার্থীদের মুখপাত্র রডরিগো আবেজা মনে করেন, এর একটি কারণ, দ্রুত তাদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া৷