কিন্তু মেথিকে ঠিক কী উপায়ে ব্যবহার করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে ব্যক্তিকে সুন্দর করে তুলবে সেটা জানা জরুরি। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো :
মেথি-পানি : পুরনো আমলের মানুষরা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এই পানীয়। এক কাপ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা সকালে ছেঁকে নিয়ে খেতে হবে।
অঙ্কুরিত মেথি: ভিটামিন ও নানা খনিজে পূর্ণ মেথিবীজ আরও এক উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। যদিও তা একটু সময়সাপেক্ষ। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।
মেথি গুঁড়ো : মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম। বাজারে মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এরপর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশানো যেতে পারে। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। এতে সহজেই কমবে পেটের মেদ।
মেথি চা : চা তো প্রতিদিনই খাওয়া হয়। তবে এবার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ হবে। তবে স্বাদ পেতে চায়ে এলাচ বা আদা দেওয়া যেতে পারে। এটা বানাতে মেথিবীজ বাড়িতেই বেঁটে নিতে হবে। এ বার পানি ফুটিয়ে তাতে সেই পেস্ট মেশাতে হবে। এবার এতে চা যোগ করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজেই। খবর বাংলাদেশ জার্নাল।