ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে কে না চায়? কাজটা খুব একটা কঠিনও কিন্তু নয়। শুধু মেনে চলুন এগুলো।
আপনি কি খুব সাশ্রয় করেন? সাশ্রয় করা খুবই প্রয়োজনীয়। তবে শুধুমাত্র সেভিংয়ে জোর দিলেই চলবে না। ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে আয়ও বাড়াতে হবে।
নিজের সামর্থের বাইরে বেরিয়ে খরচ করেন? ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াতে হলে এই অভ্যাস আগে বর্জন করুন। আয়ের সঙ্গে ব্যয় অবশ্যই যেন সঙ্গতিপূর্ণ হয়। তা না হলে বিলাসবহুল জীবনের পিছনেই সব উপার্জন বেরিয়ে যাবে।
সারাদিন ধরে খেটে যান। কিন্তু বুঝে শুনে পা ফেলেন না। তার মানে আপনি স্মার্ট নন। দেখবেন, আপনার থেকে কম কাজ করেও বেশ কৌশলে অনেকে প্রশংসা আদায় করে নেন বসের। এমন চললে কিন্তু কখনই মাইনে বাড়বে না। আর মাইনে না বাড়লে ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়বে কী করে?
সেকি! এখনও বিনিয়োগ করা শুরু করেননি? ব্যাংক ব্যালান্স বাড়ানোর অন্যতম প্রধান রাস্তা কিন্তু এই বিনিয়োগ। তবে না বুঝে যে কোনও খাতে বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকির বিষয়টি না বুঝে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করাই ভাল। না বুঝে এগোলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
অন্যের স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করার অভ্যায় বদলে ফেলুন। পাশের বাড়ির লোকটি গাড়ি কিনবেন বলে আপনাকেও কিনতে হবে এমন কিন্তু নয়। সেটাই করুন যেটা আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছা। অন্যকে দেখাতে গিয়ে অহেতুক ভুল খাতে খরচ করবেন না।
প্রথমে খরচ করেন আর তারপর যা পরে থাকে তার থেকে সাশ্রয়ের চেষ্টা করেন? এর অর্থ সাশ্রয়ের চেয়ে খরচেই আপনার ঝোঁক বেশি। আগে সঞ্চয়ের জন্য টাকা সরিয়ে রাখুন। পরে বাকি অংশ প্রয়োজন মতো খরচ করুন।
প্রতি মাসের আয়, তার থেকে কতটা ব্যয় করবেন আর কতটা সাশ্রয় করবেন তার একটা ছক কষে নিন।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়ানোর ইচ্ছাও যেন আপনার সামর্থের বাইরে না হয়। আয় অনুযায়ী ব্যাংক ব্যালেন্সের টার্গেট ফিক্সড করুন।