পরিবর্তিত আবহাওয়া ও বর্তমান জীবনশৈলীতে অভ্যস্ত মানুষ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ব্যতিরেকেই শিকার হচ্ছেন স্ট্রোকের। যার জন্য খেয়ালি আবহাওয়া অনেকটাই দায়ী। তবে আবহাওয়ার সঙ্গে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার দিকেও আঙুল তুলছেন চিকিৎসকরা।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, স্ট্রোক ঠেকাতে ওষুধের চেয়েও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন বেশি জরুরি।
কী সে সব?
ওজন প্রধান সমস্যা। স্ট্রোক ঠেকাতে ওজন, বিশেষত ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। অনেকে ছিপছিপে চেহারার হলেও একটা বয়সের পরেই তাদের ভুঁড়ি এসে যায়। সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। জিম, শারীরিক কসরত এবং সুষম আহারের উপর জোর দিন আজ থেকেই। তেল-মশলাদার খাবার এড়ান।
যাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব, ভারী শরীর, তাদের জন্য ১৪০–৯০ প্রেশার স্বাভাবিক। এর থেকে খুব বেশি হেরফের হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে নিয়ম মেনে ওষুধ খান।
পানি খান মেপে। খুব বেশি পানি যেমন ক্ষতিকারক, তেমন খুব কম পানিও কাজের কথা নয়। শারীরিক গঠন ও রোগের উপর নির্ভর করবে কতটা পানি খাবেন। হিসাব বুঝতে না পারলে চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করুন।
হাঁটাহাঁটি করুন। লক্ষ্য রাখুন, দিনে আধ ঘণ্টা যেন হাঁটার জন্য থাকে। আর তা অবশ্যই ঘাম ঝরানো হাঁটা। ধীর পায়ে নয়।
অ্যালকোহল বা ধূমপান একেবারেই চলবে না। মনে রাখবেন, কম পরিমাণে মদ বা সিগারেটও শরীরে ক্ষতি করে। সুতরাং, দূরে থাকুন সে সবের।