জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে এ বছর নটিক্যাল সায়েন্স, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ৩৬তম ব্যাচে মোট ৮৪ জন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ শেষে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছে। মহিলা ক্যাডেট সংখ্যা ০৯ জন।
৩৬তম ব্যাচের সব বিভাগের ক্যাডেটদের মধ্যে সেরা ও চৌকশ ক্যাডেট নির্বাচিত হয়ে নটিক্যাল বিভাগ থেকে মো. মোজাম্মেল হক (ক্যাডেট নং-১৭৫৩) এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ইভাশীল (ক্যাডেট নং-১৮১৯) গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন।
এছাড়া নটিক্যাল বিভাগের ক্যাডেট রাসেল ঠাকুর (ক্যাডেট নং-১৭৬৯), মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মাঈনুদ্দীন লাভলু (ক্যাডেট নং-১৮০৬) এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেট মো. এনামুল হক (ক্যাডেট নং-১৮২২) সেরা-মেধাবী ক্যাডেট নির্বাচিত হয়ে সিলভার মেডেল অর্জন করেন।
মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে এ যাবত উত্তীর্ণ প্রায় ১৬৮৬ জন ক্যাডেট দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং-জাহাজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিগত প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের ১৬ জন মহিলা ক্যাডেট মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে পাশ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এমপি প্যারেড-পরিদর্শন এবং গ্রাজুয়েটদের মাঝে সনদ ও মেডেল বিতরণ করেন।
প্যারেড শেষে তিনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত আন্তর্জাতিকমানের সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম এবং অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল এবং অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম সচিব মো. তৌফিকুল আরিফসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।